Skip to product information
1 of 1

বিনা ধান ২৫

বিনা ধান ২৫

Visit Store পাওয়ার সীড
ব্র্যান্ড: পাওয়ার সীড
Regular price Tk 845.00
Regular price Sale price Tk 845.00
Sale Out of stock
Tax included. Shipping calculated at checkout.
ওজন
পরিমাণ
View full details

 

উদ্ভাবনের উদ্দেশ্য:


দেশে চাহিদা অনুসারে সরু ও চিকন (প্রিমিয়াম কোয়ালিটি) চাল অপ্রতুল থাকায় এবং বিদেশে রফতানির উদ্দেশ্যে উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বিনা গবেষণার মাধ্যমে বিনা ধান২৫ উদ্ভাবন করে। বিনা ধান২৫ বিদেশে রফতানিযোগ্য যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমাবে।


জাত পরিচিতি:


বিনা ধান২৫ এর কৌলিক সারি RM(2)-40(C)-4-2-8। উক্ত কৌলিক সারিটি ব্রি ধান২৯ এর বীজে ৪০ গ্রে মাত্রার কার্বন আয়ন রশ্মি প্রয়োগ করে উদ্ভাবন করা হয় যা বোরো মৌসুমে ফলন পরীক্ষায় চেকজাত ব্রি ধান৫০ হতে ১০% বেশি ফলন, প্রিমিয়াম কোয়ালিটি সম্পন্ন ও আগাম পরিপক্ক হওয়ায় বানিজ্যিকভাবে কৃষক পর্যায়ে লবণাক্ত এলাকা ব্যতীত সারাদেশে চাষাবাদের জন্য বিনা ধান২৫ নামে ২০২২ সালে অবমুক্ত করা হয়।


জাতের বৈশিষ্ট্য:


ডিগ পাতা চ্যাপ্টা এবং ধান পরিপক্ক হওয়ার পরও গাঢ় সবুজ থাকে বিধায় শীষের গোড়ার ধানও পুষ্ট হয়। গাছ লম্বা (উচ্চতা ১১৬ সে.মি.) কিন্তু শক্ত বিধায় হেলে পড়ে না, ফলে খড়ের পরিমাণ বেশী হওয়ায়


কৃষক লাভবান হবে। প্রতি গাছে ১৫-২০টি কুশি থাকে। ছড়ার দৈর্ঘ্য গড়ে ২৯.০ সে.মি. লম্বা।


প্রতি শীষে পুষ্ট দানার পরিমাণ ২৮০-২৯০টি। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন গড়ে ১৯.৭ গ্রাম।


জীবনকাল ১৩৮-১৪৮ দিন এবং গড় জীবনকাল ১৪৫ দিন।


গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৬৪ মে.টন এবং সর্বোচ্চ ফলন ৮.৫০ মে.টন।

বিশেষ বৈশিষ্ট্য:


এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত ধান জাতের মধ্যে বিনা ধান২৫ সর্বাধিক লম্বা ও সরু। জমিতে পানি বেশী জমে থাকলে এবং বৈরী আবহাওয়ায় প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে গাছ সময়িক হেলে পড়লেও জমি থেকে পানি সরে গেলে এ জাতটি ২/৩ দিনের মধ্যে পুনরায় পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে এবং স্বাভাবিক ফলন দিতে সক্ষম।


চাষাবাদ পদ্ধতি:


বীজ তলায় বীজ বপন: অগ্রহায়ণের ১ম সপ্তাহ থেকে পৌষের ১ম সপ্তাহ (নভেম্বর মাসের ৩য় সপ্তাহ হতে ডিসেম্বরে ৩য় সপ্তাহ) পর্যন্ত।


চারার বয়স: ৩০-৪০ দিন।


রোপণ দূরত্ব: ২০ সে.মি. x ১৫-২০ সে.মি.


চারার সংখা: গোছা প্রতি ২-৩টি


সার ব্যবস্থাপনা (কেজি/বিঘা):


ইউরিয়া  ২২-২৭


টিএসপি/ডিএপি  ১৪-১৭


এমওপি  ১৭-২০


জিপসাম  ১১-১৫


জিংক সালফেট (মনোহাইড্রেট)  ১.০-১.৩

 

 

সর্বশেষ জমি চাষের সময় সম্পূর্ণ টিএসপি/ডিএপি, জিপসাম, জিংক সালফেট (মনো), অর্ধেক এমওপি জমিতে সমভাবে ছিটিয়ে ভালভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে যথা রোপনের ১০-২৫ দিন পর ১ম কিস্তি, ২৫-৩০ দিন পর ২য় কিস্তি এবং ৪০-৪৫ দিন পর শেষ কিস্তি উপরি প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেক এমওপি ২য় কিস্তি ইউরিয়ার সাথে প্রয়োগ করতে হবে। ডিএপি ব্যবহার করলে বিঘা প্রতি ৫ কেজি এবং হেক্টর প্রতি ৩৫-৪০ কেজি ইউরিয়া সার কম লাগে।


আগাছা দমনঃ রোপনের ৩৫-৪০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।


সেচ ব্যবস্থাপনাঃ থোড় অবস্থা থেকে দুধ অবস্থা পর্যন্ত জমিতে পর্যাপ্ত রসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাকি সময় পর্যায়ক্রমে ভিজানো ও শুকানো পদ্ধতি (AWD) ব্যবহার করা উত্তম।


> রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমনঃ বিনা ধান২৫ এ রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম। তবে রোগ বালাই


ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে অনুমোদিত দমন ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে হবে।


ফসল কাটাঃ ১৯ চৈত্র থেকে ০৭ বৈশাখ পর্যন্ত (০২ এপ্রিল-২০ এপ্রিল) বিনা ধান২৫ কাটার উপযুক্ত সময়। শীষের ৮০ শতাংশ ধান পরিপক্ক এবং বাকি ২০ শতাংশ ধান অর্ধ-স্বচ্ছ ও অর্ধ-পরিপক্ক হলে দেরী না করে ধান কেটে ফেলা উচিত।


বিশেষ সতর্কতা:


মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া সার ব্যবহার করা যাবে না। টিএসপি ও ডিএপি একসাথে ব্যবহার করা যাবে না, যেকোন একটি ব্যবহার করতে হবে।


পানি জমে থাকে এমন জমিতে জাতটি চাষ করা যাবে না।


সর্বোচ্চ ফলন পেতে/ফলন পার্থক্য কমাতে বিঘা প্রতি ১০০ গ্রাম সলুবর বোরন এবং ৬৬ গ্রাম চিলেটেড জিংক কাইচ থোড় পর্যায়ে স্প্রে করতে হবে।


বাকানি আক্রমণের আশঙ্কা থাকলে (ইমিডাক্লোপ্রিড ২৫%+ থিরাম ২৫% কার্বেনডাজিম ২৫%) গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন Atavo 75 WDG/ Nazda 75 WDG/Topzim Super 75 WDG/Ama plus75 WDG/Naz Gold 75 WDG দিয়ে ৮ গ্রাম/কেজি বীজ হারে বীজ শোষন করতে হবে।