Collection: পালংশাক বীজ
পালংশাক বেশ জনপ্রিয়, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু পাতা জাতীয় সবজি। এর ইংরেজি নাম Spinach ও বৈজ্ঞানিক নাম Spinacea olerocea. এ সবজি অধিক ভিটামিনসমৃদ্ধ। বাংলাদেশে সাধারণত শীতকালে এর চাষ করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে পালং শাকের ফলন ও খুব ভালো হয়।
তথ্যসূত্রঃ কৃষি বার্তা
No products found
Use fewer filters or remove all
পুষ্টিগুন
পালংশাকে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ আছে। এছাড়াও পালং শাকে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, ও বি৬ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, যা চুল পড়া রোধ করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
পালংশাক চাষ পদ্ধতি
মাটির প্রকৃতিঃ দোআঁশ এবং এঁটেল মাটি পালংশাক চাষের জন্য উপযোগী।
বীজ বপনের সময়: সেপ্টেম্বর- জানুয়ারি মাস।
বীজ বপনের দূরত্ব: ১০ সেমি দূরে দূরে বীজ বপন করতে হয়। তবে ছিটিয়েও বীজ বপন করা যায়।
অঙ্কুরোদগমের সময়: বীজ বপনের পর অঙ্কুরোদগমে প্রায় ৭-৮ দিন সময় লাগে।
বীজ বপনের হার:
প্রতি আইলে ⇒৩৫-৪০ গ্রাম
প্রতি শতকে ⇒১১৭ গ্রাম
প্রতি একরে ⇒৯-১১ কেজি
প্রতি হেক্টরে ⇒২৫-৩০ কেজি
পালংশাকের জাত:
পুষা জয়ন্তী, কপি পালং, গ্রিন, সবুজ বাংলা ও টকপালং। এছাড়া আছে নবেল জায়েন্ট, ব্যানার্জি জায়েন্ট, পুষ্প জ্যোতি ইত্যাদি।
জমি তৈরি ও বীজ বপনঃ
# পালং শাক চাষ করার আগে চাষ ও মই দিয়ে জমির মাটি ভালোভাবে ঝুরঝুরে করে তৈরি করে নিতে হবে।
# পরবর্তীতে জমিতে আইলে সরাসরি বীজ ছিটিয়ে বা গর্ত তৈরি করে মাদায় বীজ বপন করা যায় অথবা বীজতলায় চারা তৈরি করে সে চারা রোপণ করেও পালংশাক চাষ করা যায়। বীজ বপনের পূর্বে বীজ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়।
# এক সারি থেকে অন্য সারির দূরত্ব ৮ ইঞ্চি রাখতে হবে।
# একটি কাঠির সাহায্যে ১.৫-২.০ সেমি. গভীর লাইন টেনে সারিতে বীজ বপন করে মাটি সমান করে দিতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে গর্ত তৈরি করে প্রতি মাদায় ২-৩ টি করে বীজ বপন করতে হয়।
পালংশাকের জাত: পুষা জয়ন্তী, কপি পালং, গ্রিন, সবুজ বাংলা ও টকপালং। এছাড়া আছে নবেল জায়েন্ট, ব্যানার্জি জায়েন্ট, পুষ্প জ্যোতি ইত্যাদি।
সার ব্যবস্থাপনাঃ
পালং শাকের ভালো ফলন পাওয়ার জন্য প্রতি শতাংশ (ডেসিমাল) জমির জন্য নিম্নোক্ত হারে সার প্রয়োগ করতে হবেঃ
সারের পরিমাণ (শতকের জন্য)
পচা গোবর/কম্পোস্ট ৪০ কেজি
টিএসপি ১.০ কেজি
ইউরিয়া ৫০০ গ্রাম
এমওপি/পটাশ ৫০০ গ্রাম
প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
ইউরিয়া ছাড়া সব সার জমির শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হয়। তবে গোবর জমি তৈরির প্রথম দিকে প্রয়োগ করাই উত্তম।
ইউরিয়া সার চারা গজানোর ৮-১০ দিন পর থেকে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
পালংশাক চাষে অন্যান্য প্রযুক্তিঃ
আগাছা নিধন: জমিতে আগাছা দেখা দিলেই তা তুলে ফেলতে হবে।
সেচ প্রয়োগ: এ শাকের জন্য প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। তাই সারের উপরিপ্রয়োগের আগে মাটির ‘জো’ অবস্থা বুঝে সেচ দেওয়া প্রয়োজন। চারা রোপণের পর হালকা সেচ দেওয়া প্রয়োজন।
শূন্যস্থান পূরণ: কোনো স্থানের চারা মরে গেলে অথবা বীজ না গজালে সেখানে ৭-১০ দিনের মধ্যে পুনরায় চারা রোপণ করতে হয়।
মাটি আলগাকরণ: গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য মাটিতে বেশি দিন রস ধরে রাখা এবং মাটিতে যাতে সহজে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেজন্য প্রতিবার পানি সেচের পর আল/জমির উপরের মাটি আলগা করে দিতে হয়।
গাছ পাতলা করণ: বীজ গজানোর ৮-১০ দিন পর প্রতি মাদায় ২টি করে চারা রেখে অতিরিক্ত চারা উঠিয়ে ফাঁকা জায়গায় রোপণ করতে হয়।
ক্ষতিকর পোকামাকড়: পালংশাকে মাঝে মাঝে পিপঁড়া, উরচুঙ্গা, উইপোকা এবং পাতাছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা যায়। আক্রমণ হলে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হয়।
রোগ ব্যবস্থাপনা:
পালংশাকের প্রধান রোগের মধ্যে রয়েছে-
১) গোড়া পচা রোগ
২) পাতার দাগ রোগ
৩) পাতা ধ্বসা রোগ।
এছাড়া পালংশাকে আরও দুইধরনের রোগ দেখা যায়। যেমন- ডাউনি মিলডিউ, পাতায় দাগ।
ফসল সংগ্রহ: বীজ বপনের এক মাস পর থেকে পালংশাক সংগ্রহ করা যায় এবং গাছে ফুল না আসা পর্যন্ত যে কোনো সময় সংগ্রহ করা যায়।
ফলন:
প্রতি আইলে⇒ ৮-১০ কেজি
প্রতি শতকে⇒ ২৮-৩৭ কেজি
প্রতি একরে⇒ ২৮০০-৩৮০০ কেজি
প্রতি হেক্টরে⇒ ৭-৯ টন
তথ্যসূত্রঃ কৃষি বার্তা
You may also like
-
ট্রাপ আইবিটি ০৩
Vendor:ইস্পাহানিRegular price From Tk 55.00Regular priceUnit price / per -
এমিস্টার টপ
Vendor:SyngentaRegular price From Tk 230.00Regular priceUnit price / per