বৈশিষ্ট্য
- সবিরত,তাপ সহিষ্ণু হাইব্রিড জাত
- ভরা ও নাবি মৌসুমে চাষযোগ্য
- ফল উজ্জল টকটকে লাল ও চ্যাপ্টা গোলাকার,খেতে সুস্বাদু
- হলের গড় ওজন ১২০-১৪০ গ্রাম
- ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়াজনিত নেতিয়ে পড়া রোগ সহনশীল
- একরপ্রতি তাপমাত্রায় ফল সুংগ্রহের পর থেকে ১৫-২০ দিন সংরক্ষন করা জায়।
বীজ বপনের সময়
আগষ্ট-ডিসেম্বর পর্যন্ত বীজতলায় বীজ বপন করা যায়।
বীজের পরিমান
প্রতি শতাংশ ১ গ্রাম এবং একরপ্রতি ১০০ গ্রাম।-১ বিঘা =৩৩ শতাংশ)
বীজতলায় চারা উৎপাদন
৩*১ মিটার মাপের ১৫ সেমি উঁচু বেড তৈরী করতে হবে।বীজতলায় উপরের ১:১ অনুপাত পচা গোবর/ আবর্জনা পচা সার ও দোআঁশ মাটির মিশ্রন ছরিয়ে দিতে হবে।অতপর ৩-৪ সপ্তাহ মোটা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখে মাটি শোধনের পর ৫ সেমি পর পর লাইন করে ১ সেমি গভীরতায় ২.৫ দূরে দূরে বীজ বপন করতে হবে।প্রতিটি বীজতলার জন্য ১০ গ্রাম বীজ ব্যবহার করতে হবে।বীজ বপনের পর বীজের উপর কিছু ঝুরঝুরে মাটি ছরিয়ে দিতে হবে।অতি বৃষ্টি ও রোদের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য রোপনের ১৫-২০ দিনের মধ্য পলিথিন বা চাটাইয়ের আচ্ছাদন দিতে হবে।চারা গজানোর ১২দিন পর একবার এবং ২০ দিন পর আর একবার ৫০ গ্রাম কুপ্রোফিক্স ও ৫ মিলি সাইরাক্স ১০ লিটার পানিতে একত্রে মিশিয়ে বীজতলায় স্প্রে করতে হবে।
চারা রোপণ
২৫-৩০ দিন বয়সের ৫-৬টি পাতাবিশিষ্ট স্বাস্থবান চারা ১ মিটার প্রশস্ত বেড তৈরি করে সারি সারি ৭০ সেমি এবং চারা থেকে চারা ৫০ সেমি দূরত্ব বজায় রেখে রোপন করতে হবে।দুই বেডের মাঝে ৪০ সেমি প্রশস্ত ও ১৫ সেমি গভীর নালা রাখতে হবে।এই নালা সেচ ও পানি নিষ্কাশন কাজে ব্যবহার করা যাবে।
সারের পরিমান ও প্রয়োগ (প্রতি শতাংশ জমির জন্য) | ||||
সার | জমি তৈরীর সময় | শেষ চাষের সময় | ১ম উপরি প্রয়োগ (১৫-২০ দিন পর) |
২য় উপরি প্রয়োগ (৩০-৩৫ দিন পর) |
পচা গোবর | ৫০ কেজি | - | - | - |
ইউরিয়া | - | ১ কেজি | - | - |
এমপি | - | ৪০০ গ্রাম | ৩০০ গ্রাম | ৩০০ গ্রাম |
জিপসাম | ৩০০ গ্রাম | - | - | - |
জিঙ্ক সালফেট |
- | ৪০গ্রাম | - | - |
বোরাক্স | - | ৩০গ্রাম | - | - |
ফসল সংগ্রহ ও ফলন
চারা রোপনের ৬৫-৭০ দিনের মধ্য টমেটো সংগ্রহ শুরু করা জায়।প্রতি গাছে ফলন পাওয়া যায় ৪-৫ কেজি।প্রতি শতাংশে ফলন ৪০০-৫০০ কেজি।একরপ্রতি ফলন ৪০- ৫০ টন।
আবশ্যকীয় কার্যাবলী
প্রাথমিক অবস্থায় ৩-৪ টি কুশি ছাটাই করতে হবে।ঊচু বেডে চাষ করতে হবে।আগাছা দমন করতে হবে।প্রয়োজনে সেচ এবং উপযুক্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা বিতে হবে।গাছ যাতে মাটিতে হেলে না পরে সেজন্য খুটির ব্যবস্থা করতে হবে।