ন্যাশনাল পটাশ
(পটাশিয়াম ৫০%, সালফার ১৭%)
ন্যাশন্যাল পটাশ উদ্ভিদের অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান পটাশিয়াম ও সালফারের সমন্বয়ে তৈরি একটি যৌগিক সার।
উপাদান: ন্যাশনাল পটাশে কমপক্ষে ৫০% পটাশিয়াম এবং ১৭% সালফার বিদ্যমান।
ন্যাশনাল পটাশ ব্যবহারের উপকারিতা।
পানিতে খুব সহজেই ও দ্রুত দ্রবনীয় হয় ফলে ব্যবহারের
সাথে সাথে পাছ শিকড়ের সাহায্যে গ্রহণ করে। ক্লোরিন ও সোডিয়াম খুব কম পরিমানে থাকায় শাক-সবজি মূলের গুনগতমান অক্ষুন্ন থাকে।
বীজের অঙ্কুরোদগম থেকে শুরু করে ফসলের বৃদ্ধি, পুষ্টি ও জবনের জন্য ১৮ টি অত্যাবশ্যকীয় উপাদানের মধ্যে পটাসিয়াম ও সালফার অন্যতম। সুতরাং জমিতে পটাশিয়াম ও সালফারের অভাব দেখা দিলে সঠিক মাত্রায় ল্যাশনাল পটাশ ব্যবহার করুন।
কাছের অঙ্গয় বৃদ্ধি কমিয়ে ফুল ও ফল ধারনে সাহায্য তার। ফলের আকার বড় হয়, ওজনে বেশি হয়, রং মসৃন হয় এবং স্বাদ ও মিষ্টতা বাড়ে। এছাড়াও ফলের জীবনকাল বেড়ে যায় ও বেশি দিন ধরে সংরক্ষন করে রাখা যায়। গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ন্যাশনাল পটাশ ব্যবহারের ফলে গাছ অরোও বেশি খরা প্রতিরোধী হয়। ন্যাশনাল পটাশ বিভিন্ন ফসলের জন্য মাঠে ও গ্রীণহাউজে
প্রয়োগ করা যায়। এছাড়াও গাছের পাতায় প্রয়োগ করা যায়।
প্রয়োগক্ষেত্র ড্রাগন, গম, ভুট্টা, মূলা, মরিচ, বেগুন, পিয়াজ, রসুন, আদা, টমেটো, কুমড়া, শসা, পটল, করলা, কাকরোল, চিচিংগা, ঢেঁড়স, ফুলকপি, বাধাকপি, সীমসহ অন্যান্য শাক-সবজি এবং আম, লিচু, আনারস, পেঁপে, কলাসহ সব ধরনের ফল ও লেবু জাতীয় ফসল।
পটাশিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ।
• গাছের সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়।
• বয়স্ক পাতার আগা ও কিনারা কলসে বা পুড়ে যায়।
• গাছের গোড়া ও কাও দুর্বল থাকায় গাছ প্রায়ই হেলে পড়ে। • অতি খরা, শীত, রোগ ও পোকার আক্রমনে গাছের
প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
• পাতা, ফুল ও ফল করে যায়।
• গাছের বৃদ্ধি কমে যায় ও কুপি কম হয়। • বীজ ও ফল আকারে ছোট হয় এবং কুঁচকে যায়।
প্রয়োগের মাত্রা ও সময়।
• ফসলের বৃদ্ধি অবস্থায় ফুল-ফল ধরার সময়
প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতি লিটার পানিতে ৩-৫ গ্রাম মিশিয়ে জমিতে বা গাছে স্প্রে করুন। • সকালে বা বিকেলে কম তাপমাত্রায় স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।